ডোমেইন হচ্ছে কোন একটা ওয়েবসাইটের নাম যেমন, www.cyberdeveloperbd.com এটি একটি ওয়েবসাইট যা সকল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী তার ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যমে দেখতে পারে। এখানে তিনটি W হচ্ছে যথাক্রমে world wide web আর cyberdeveloperbd.com হচ্ছে সেই ওয়েব সাইটের মূল নাম। প্রথমত এই ওয়েব সাইটের একটি আইপি এড্রেস থাকে যা প্রত্যেক ওয়েব সাইটের থাকে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আপনি সব ওয়েব সাইটের আইপি এড্রেস মনে রাখতে পারবেন না, কিন্তু ডোমেইন নেম থাকলে আপনি তা সহজেই মনে রাখতে পারবেন।
ইন্টারনেটের এর বিশাল দুনিয়া থেকে আমাদের কাঙ্ক্ষিত ওয়েবসাইট খুঁজে পেতে ডোমেইন নেম সহায়তা করে। এছাড়া এক বা একাধিক কম্পিউটার কে ইন্টারনেট এ চেনার জন্যও ডোমেইন নাম ব্যবহার করা হয়। আপনি যে ডোমেইনটি ব্যবহার করবেন সে ডোমেইনটি শুধুমাত্র .com দিয়ে হবে তেমনটা নয়। আপনার ওয়েবসাইট এর ধরন অনুসারে ডোমেইনের এক্সটেনশন ব্যবহার করা হয়। যেমন: আপনি কোন অর্গানাইজেশন পরিচালনা করার জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাচ্ছেন তখন আপনাকে .org ব্যবহার করতে হবে অথবা আপনি কোন নেটওয়ার্ক সাইটের জন্য আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাচ্ছেন তখন আপনাকে .net ব্যবহার করতে হবে অথবা আপনি কোন ইনফরমেশন শেয়ার এর জন্য একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাচ্ছেন তখন আপনাকে .info ব্যবহার করতে হবে। .com হলো সবচেয়ে জনপ্রিয় ডোমেইন এক্সটেনশন। Symbolics.com হলো বিশ্বের প্রথম ডোমেইন নেম।
TLD (Top-Level Domain): TLD হলো ডোমেইন নেমিং সিস্টেমের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ডোমেইন নেম। এটি ডোমেইন নেমের শেষে থাকে, যেমন, “.com”, “.org”, “.net”, “.gov” ইত্যাদি। TLD গুলি আবশ্যিকভাবে রাষ্ট্র বা সরকারী সংস্থা বা নেটওয়ার্ক সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের জন্য ব্যবহৃত হয়।
CCTLD (Country Code Top-Level Domain): CCTLD হলো রাষ্ট্রীয় কোড টপ-লেভেল ডোমেইন, যা প্রায়ই একটি দেশ বা একটি রাষ্ট্রের নামের সাথে সংযুক্ত হয়। এই ধরণের ডোমেইন নেম বিশেষ ক্ষেত্রে একটি দেশের বা একটি রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্কিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, “.us” আমেরিকা, “.uk” যুক্তরাজ্য, “.in” ভারত, “.au” অস্ট্রেলিয়া, “.bd” বাংলাদেশ ইত্যাদি।
ডোমেইন নেম সিলেক্ট করার সময় যেসব বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেনঃ
ব্র্যান্ড: ডোমেইন নেমটি আপনার ব্র্যান্ড এবং প্রতিষ্ঠানের সাথে মিল রাখা উচিত। এটি আপনার ব্র্যান্ডের পরিচিতি বাড়াতে সাহায্য করে।
সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট: ডোমেইন নেমটি সংক্ষিপ্ত ও স্পষ্ট রাখতে হবে।
SEO : ডোমেইন নেমটি সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (SEO) এর দিক দিয়ে সাহায্য করতে পারে। এজন্য ডোমেইন নেম সিলেক্ট করার আগে অ্যানালাইসিস করতে হবে।
সহজ ও স্মৃতিশীল: সহজ ও স্মৃতিশীল একটি ডোমেইন নেম বেছে নিতে হবে, যাতে সহজেই ব্যবহারকারীরা আপনার ওয়েবসাইটে পৌঁছতে পারে।
ডোমেইন রেজিস্ট্রেশনের আগে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি জানা জরুরী:
ডোমেইন নেম অ্যাভেইলিভিটি: আপনি যে ডোমেইন নেমটি নিতে চান সেটি অ্যাভেইলেবল আছে কিনা তা পরীক্ষা করুন। এটি আপনার ব্র্যান্ড বা ওয়েবসাইটের সাথে মিল খাওয়া উচিত।
ডোমেইন এক্সটেনশন: ডোমেইন নেম কি এক্সটেনশন ব্যবহার করবেন তা সিলেক্ট করুন, যেমন .com, .net, .org ইত্যাদি। .com হলো সবচেয়ে জনপ্রিয় ডোমেইন এক্সটেনশন।
ডোমেইন ভেরিফিকেশন: ডোমেইন রেজিস্ট্রারের প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র প্রদান করুন।
ডোমেইন রেজিস্ট্রার: ভালো এবং বিশ্বস্ত একটি ডোমেইন রেজিস্ট্রার নির্বাচন করুন।
রেজিস্ট্রেশনের খরচ: ডোমেইন রেজিস্ট্রেশনের ও রিনিউয়াল জন্য কত খরচ লাগবে তা জেনে রাখুন।
ডোমেইন মেইনটেনেন্স: ডোমেইনের ফুল কন্ট্রোল দিবে কিনা তা যাচাই করুন।
ডোমেইন ম্যানেজমেন্টের উদ্দেশ্য হ’ল ডোমেইনের সঠিক পরিচালনা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা যাতে ওয়েবসাইটটি সঠিকভাবে কাজ করে এবং ব্যবহারকারীদের সন্তুষ্টি নিশ্চিত করা যায়। ডোমেইন ম্যানেজমেন্টের বিষয় গুলিঃ
ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন: ডোমেইন কেনার সময় সঠিক ডোমেইন নাম সিলেক্ট করা এবং এটি কিভাবে রেজিস্টার করা হবে সেটি নির্ধারিত করা হয়।
ডোমেইন নেমসার্ভারের কনফিগারেশন: ডোমেইন নেমসার্ভারের কনফিগারেশন ঠিকমত সেট আপ করা যাতে ডোমেইন ঠিকমতো ওয়েবসাইটে পৌঁছায়।
DNS ম্যানেজমেন্ট: ডোমেইন নেমসার্ভার (DNS) এর ম্যানেজমেন্ট করে ডোমেইন সঠিকভাবে কাজ করতে পারে। এটি মুখ্যতঃ ডোমেইন নাম এবং IP ঠিকানা মিলানোর জন্য ব্যবহার হয়।
SSL সার্টিফিকেট সেটআপ: SSL সার্টিফিকেট একটি ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা নিশ্চিত করে। এটি সেট আপ করা ডোমেইন ম্যানেজমেন্টের অংশ ।
WHOIS তথ্য ম্যানেজমেন্ট: WHOIS তথ্য ডোমেইন নামের মালিকানা সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে থাকে এবং সেটি নিরাপত্তার দিক থেকে সঠিক রাখা দরকার।
ডোমেইন ট্রান্সফার: একটি ডোমেইন সহজে অন্য হোস্টিং প্রভাইডারের কাছে ট্রান্সফার করা।
ডোমেইন নেম পার্কিং: যখন একটি ডোমেইন ব্যবহার করা হয় না, তখন সেটি অন্য ডোমেইনে পার্ক করা হতে পারে।
ডোমেইন একটি ওয়েবসাইট বা ওয়েব সার্ভারের ঠিকানা পরিচিত করার জন্য একটি অভ্যন্তরীণ নাম হিসেবে কাজ করে। ডোমেইন একটি স্যান্ডার্ড ইন্টারনেট প্রোটোকল হিসেবে কাজ করে, যা আইপি (IP) ঠিকানাগুলি থেকে ডোমেইন নামে পরিবর্তিত হয়ে থাকে।
ডোমেইন যেভাবে কাজ করেঃ
ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন: সবচেয়ে প্রথমে ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করা হয়, যা একটি ডোমেইন রেজিস্ট্রার প্রতিষ্ঠান বা ওয়েবসাইট থেকে সম্পন্ন হতে পারে। এই ধাপে ডোমেইনের জন্য একটি ইউনিক নাম নির্ধারণ করা হয় এবং তা রেজিস্ট্রারের সাথে অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়।
নেমসার্ভারের কনফিগারেশন: একবার ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়ে গেলে, ডোমেইনের নাম সার্ভারের (DNS) কনফিগারেশন সঠিকভাবে সেট আপ করা হয়। এই ধাপে, ডোমেইনের নামের কাস্টমারের জন্য ডোমেইন নাম রেকর্ড (DNS) নির্ধারিত করা হয় যেখানে ওয়েবসাইটটি হোস্ট করা হয়।
ব্রাউজার রিকোয়েস্ট: ব্যবহারকারী একটি ডোমেইন নামের মাধ্যমে ওয়েবসাইটে অনুসন্ধান করে। যখন ব্যবহারকারী একটি ওয়েবসাইটে অনুসন্ধান করে, তখন তার ডিভাইস ওয়েবসাইটের ডোমেইনের IP ঠিকানা সনাক্ত করতে ডোমেইন নাম সার্ভারের (DNS) কাছে রিকোয়েস্ট করে।
DNS অনুমোদন এবং রিডাইরেক্ট: DNS সার্ভার ডোমেইন নামের সাথে সংযোগ স্থাপন করে এবং সেটির জন্য সঠিক IP ঠিকানা প্রদান করে যেখানে ওয়েবসাইটটি হোস্ট করা হয়।
ওয়েবসাইটে রিকোয়েস্ট: একবার সঠিক IP ঠিকানা সনাক্ত হয়ে গেলে, ব্রাউজার ওয়েবসাইটের ওয়েব সার্ভারের কাছে রিকোয়েস্ট করে যেখানে ওয়েবসাইট হোস্ট করা হয়।
ওয়েবসাইট লোড: ওয়েব সার্ভার ব্রাউজারের রিকোয়েস্ট আসসেপ্ট করে এবং ওয়েবসাইট পেজগুলি ব্রাউজারে লোড করে। ফলে ব্যবহারকারীর কাছে ওয়েবসাইটের সকল কনটেন্ট প্রদর্শন হয়।
ওয়েব হোস্টিং হল একটি অনলাইন পরিষেবা যা আপনাকে ইন্টারনেটে আপনার ওয়েবসাইট বা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন প্রকাশ করতে সক্ষম করে। এটি ওয়েবসাইটের ফাইলগুলি, ডেটাবেস, মেইল সার্ভার, সিকিউরিটি এবং অন্যান্য সেবাগুলি প্রভাইড করে।একটি ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশন সার্ভার হোস্টিং সেবা প্রদানকারীর সার্ভারে হোস্ট করা হয়, যা সাধারণত একটি ডেটা সেন্টারে অবস্থিত হয়। হোস্টিং প্রদানকারী সার্ভার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা করে যাতে ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশন সঠিকভাবে কাজ করে।
হোস্টিং হচ্ছে একটি ওয়েব সার্ভার বা সার্ভার কম্পানি যেখানে ওয়েবসাইটের ফাইল ও তথ্য সংরক্ষণ ও পাবলিশ করা হয়। সাধারণত হোস্টিং কোম্পানিরা সার্ভারের স্পেস ও ব্যান্ডউইথ প্রদান করে যাতে একটি ওয়েবসাইট ইন্টারনেটে অ্যাক্সেস করা যায়।একটি ওয়েবসাইট যখন একজন ব্যবহারকারী ওয়েব ব্রাউজারে একটি URL অনুসারে অ্যাক্সেস করে, তখন ব্রাউজার সার্ভারে একটি রিকোয়েস্ট পাঠায়। সার্ভার তারপরে ব্যবহারকারীর রিকোয়েস্টের উপরে প্রয়োজনীয় ফাইল ও তথ্য প্রেরণ করে ব্রাউজারের কাছে প্রেরণ করে। তারপর ব্রাউজার সেই তথ্য ব্যবহার করে ওয়েবসাইট প্রদর্শন করে ব্যবহারকারীকে।
সার্ভার বাস্তব জগতে বড় একটি কম্পিউটার যা সব সময় ইন্টারনেটে সংযুক্ত থাকে এবং বিভিন্ন সার্ভিস প্রদান করে, যেমন ওয়েব হোস্টিং, ইমেল হোস্টিং, ডাটাবেস হোস্টিং, ফাইল হোস্টিং ইত্যাদি। এই সার্ভারে অনেক গুলি ওয়েবসাইটের ফাইল এবং তথ্য সংরক্ষণ করা থাকে যা ইন্টারনেটে প্রদর্শন হয়।
ওয়েব হোস্টিং বিভিন্ন ধরণের হতে পারে। যেমন;
শেয়ার্ড হোস্টিং (Shared Hosting): শেয়ার্ড হোস্টিং হলো ওয়েব হোস্টিং এর একটি ধরণ, যেখানে একটি সার্ভারের রিসোর্স বিভাজিত হয় এবং একই সার্ভারটি ব্যবহার করা হয় একাধিক ওয়েবসাইটের জন্য। এই ধরণের হোস্টিং প্ল্যানগুলি সাধারণত সহজে অ্যাভেইলেবল এবং সস্তা হয়ে থাকে যেটি ছোট থেকে মাঝারি ওয়েবসাইটগুলির জন্য উপযুক্ত। এই ধরণের হোস্টিং ব্যবহার করলে সার্ভারের রিসোর্সগুলি আপনার ওয়েবসাইটের সাথে অন্যান্য সকল ওয়েবসাইটগুলিতেও ভাগ করা হয়।
ভার্চুয়াল প্রাইভেট সার্ভার (Virtual Private Server – VPS): ভার্চুয়াল প্রাইভেট সার্ভার (Virtual Private Server অথবা VPS) হলো একটি ওয়েব হোস্টিং সার্ভার, যা একটি বিশেষভাবে কনফিগার করা হয় যাতে অন্যান্য সার্ভারের সাথে আলাদা একটি অংশ পাওয়া যায়। এটি একটি ফিজিক্যাল সার্ভারের মধ্যে বেশি সংখ্যক ভার্চুয়াল সার্ভারের হোস্টিং প্রদান করে।
ভার্চুয়াল প্রাইভেট সার্ভারে প্রতিটি ভার্চুয়াল সার্ভার নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম, র্যাম, স্টোরেজ এবং অন্যান্য রিসোর্স সম্পর্কে নির্দিষ্ট সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট অধিকারী। একজন ব্যবহারকারী এই ভার্চুয়াল সার্ভারে তাদের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন, ডাটাবেস, ফাইল, ই-মেইল সার্ভার ইত্যাদি ইনস্টল করতে পারেন এবং এটি তাদের ওয়েব হোস্টিং এর জন্য নিজেরা একত্রিত রাখতে পারেন। এটি স্বাধীন এবং ব্যবহারকারীর ওয়েবসাইটের সুরক্ষা ও পারফর্মেন্স কন্ট্রোলের সুবিধা পায়।
ডেডিকেটেড হোস্টিং (Dedicated Hosting): ডেডিকেটেড হোস্টিং হলো একটি হোস্টিং সেবা যেখানে একজন ব্যবহারকারী একটি পুরো সার্ভারের সম্পূর্ণ অধিকারী হয়। অর্থাৎ সে সার্ভারের সমস্ত রিসোর্স, যেমন প্রসেসর, র্যাম, স্টোরেজ, নেটওয়ার্ক সংযোগ, অপারেটিং সিস্টেম ইত্যাদি একাই ব্যবহার করেন। ডেডিকেটেড হোস্টিং সম্পূর্ণভাবে একজন ব্যবহারকারীর নিজস্ব ব্যবসায়িক প্রয়োজনীয়তা মেটানোর জন্য প্রয়োজন। এটি বড় ওয়েবসাইট, বিজনেস অ্যাপ্লিকেশন, ডেটাবেস, গেম সার্ভার, বড় বড় অনলাইন প্রোজেক্টগুলির জন্য উপযুক্ত। ডেডিকেটেড হোস্টিং খুব উচ্চ স্কেলাবিলিটি, নিরাপত্তা এবং নিজস্ব নিয়ন্ত্রণ প্রভাইড করে, কিন্তু এর দাম অনেকটা বেশি।
ক্লাউড হোস্টিং (Cloud Hosting): ক্লাউড হোস্টিং হলো ওয়েব হোস্টিং এর একটি প্রযুক্তি যেখানে ওয়েবসাইট সার্ভিস প্রদানের জন্য ব্যবহৃত সার্ভারের সমস্ত রিসোর্স একটি বিশেষভাবে কনফিগার করা হয় এবং এটি একটি কম্পিউটিং নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সাপ্লাই করা হয়। এই প্রযুক্তিতে, সার্ভারের সমস্ত রিসোর্স (যেমন প্রসেসর, র্যাম, স্টোরেজ) একটি সার্ভার ফার্মে ভাগ করা হয় এবং এই সার্ভার ফার্ম বিভিন্ন ফিজিক্যাল সার্ভারে রয়েছে। ক্লাউড হোস্টিং একটি সহযোগী সার্ভার নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে যা ব্যবহারকারীদেরকে স্কেল করার সুবিধা দেয় এবং নিখুঁত পারফর্মেন্স ও নিরাপত্তা সরবরাহ করে। ক্লাউড হোস্টিং ব্যবহারকারীদের হাই পারফরমেন্স, স্কেলাবিলিটি এবং নিরাপত্তা প্রভাইড করে। একজন ব্যবহারকারী ক্লাউড হোস্টিং ব্যবহার করলে তারা প্রয়োজনে অনুযায়ী রিসোর্স স্কেল করতে পারে। এটি ছোট থেকে বড় ওয়েবসাইটগুলির জন্য উপযুক্ত।
রিসেলার হোস্টিং (Reseller Hosting): রিসেলার হোস্টিং হলো এমন একটি হোস্টিং প্রক্রিয়া যেখানে একজন হোস্টিং সার্ভার ব্যবহারকারী স্বতন্ত্র ওয়েব হোস্টিং সেবা প্রদান করতে পারে অন্যান্য ব্যবহারকারীদের জন্য। অর্থাৎ, রিসেলার হোস্টিং কোন কোম্পানি থেকে হোস্টিং স্পেস কিনে এবং তার নিজস্ব ব্র্যান্ড অনুসারে হোস্টিং সেবা প্রদান করতে পারে। রিসেলার হোস্টিং সাধারণত হোস্টিং কোম্পানির লোকাল বা ছোট ব্যবসার জন্য ব্যবহৃত হয়।
সঠিক হোস্টিং সার্ভিস নির্বাচনের জন্য আপনি নিম্নলিখিত বিষয়গুলি মনে রাখতে পারেন:
আপটাইম (Uptime): আপনার ওয়েবসাইট অনলাইনে ৯৯% আপটাইম রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সে জন্য আপনার হোস্টিং প্রদানকারীর আপটাইম রেটিং দেখুন।
সার্ভিস পরিমাপ: প্রথমে নিশ্চিত হন যে প্রদানকারী সঠিক ওয়েব হোস্টিং সেবা প্রদান করবে এবং আপনার ওয়েবসাইটের জন্য যে সেবাগুলি আপনার প্রয়োজন সেগুলি আছে।
দাম: সঠিক ওয়েব হোস্টিং প্রভাইডার নির্ধারিত প্রদানকারী সাথে আপনার বাজেটের মধ্যে মিলে যাবে তা নিশ্চিত করুন।
সিকিউরিটি সুরক্ষা: সর্বোচ্চ সেকিউরিটি সুরক্ষা আপনার ওয়েবসাইটের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। একটি ভালো ওয়েব হোস্টিং প্রভাইডার এনক্রিপশন, ফায়ারওয়াল, ডেটা ব্যাকআপ প্রভাইড করে।। সিকিউরিটি ফিচারগুলি যেমন SSL সার্টিফিকেট, DDoS প্রোটেকশন, ফায়ারওয়াল ইত্যাদি চেক করুন।
সাপোর্ট ও সেবা: সার্ভিস সাপোর্ট এবং সেবা যে কোন ওয়েবসাইটের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক হোস্টিং প্রদানকারী যদি ২৪/৭ সাপোর্ট, টিকেটিং সিস্টেম, ওয়েবসাইটের ডেটা ব্যাকআপ সেবা ইত্যাদি প্রভাইড করে কিনা তা যাচাই করুন।
রিফান্ড পলিসি: সঠিক হোস্টিং নির্বাচনে একেবারে রিস্ক নিতে না হলে রিফান্ড পলিসি যেভাবে প্রযোজ্য তা দেখুন।
ব্যাকআপ ও রিস্টোর: নিশ্চিত হোন যে আপনার হোস্টিং সার্ভিস এ ব্যাকআপ এবং রিস্টোর সুবিধা আছে।
উপরে উল্লিখিত বিষয়গুলি মনে রেখে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের প্রয়োজনীয়তা এবং বাজেট অনুযায়ী হোস্টিং সার্ভিস নির্বাচন করতে পারেন।